Wednesday, April 25, 2007

A Different View


[if you can't tolerate slang, then please don't even try to read this blog.]

buet-e kono magi achhe????
aachhe...
kon se magi???
aaashis.

khanki magi... ashis
chutmarani... ashis
huga mara... ashis
kuttar bachcha... ashis
shuorer nati... ashis
vudaay shis... ashis
putki shis... ashis
baler shis... ashis
.
.
.
sorry! i can't reproduce all of them. these were SLOGANs in PROCESSION on the occasion of my birth anniversary. my friends (exclusively creative) invented this type of celebration. it's now being a trademarked birthday celebration. it's different.... unparallel.

i love you, my friends!!

[NB: hypocrisy - i hate from very core of my heart. so i don't want only to share some great views which would create a GOODY GOODY image. i'm not sorry if you get hurt and not shocked if you think me spoiled. i'm what i am... ]

Monday, April 23, 2007

বছর শুরুর বৃষ্টি


শেষ বিকেলে বিছানায় শুয়ে শুয়ে যখন আড়মোড়া ভাঙছিলাম - খেয়াল করলাম বাইরে দারুণ বাতাস বেশ আরামের হালকা ঠান্ডা মনে হচ্ছে বৃষ্টি হবে একটু পরকিন্তু বাতাসটাই ভাল লাগছেমাঠে গেলে আরো ভাল লাগতসবি (রুমমেট) কে ঘুম থেকে ডেকে তুললামএতে যতক্ষণ দেরী হল, ততক্ষণে বৃষ্টি ঝরতে শুরু করেছেসবি এবার ভিজতে চাইল সামনে পরীক্ষা বললাম ভিজব না, যদিও কষ্ট হলবৈশাখের বৃষ্টি, বছর শুরুর বৃষ্টি, আর আমি ভিজব না - কষ্ট হবে না? তবুও সংযত করলাম নিজেকেবাস্তবতার স্বার্থে হত্যা করলাম মনের ছোট্ট ইচ্ছাকে

এখন কী করি? নিচে ঝালমুড়ি বিক্রি করছেভাবলাম খেয়ে আসিএগিয়ে চললাম সেদিকে তিন তলা হতে যেই না নিচে নামলাম, মনটা আবার বেঁকে বসল বৃষ্টিতে ভিজার ইচ্ছেটা আবার জেগে উঠলইচ্ছাটাকে দ্বিতীয়বার আর হত্যা করলাম না একটা রুমে মোবাইল-মানিব্যাগ-জামা রেখে হলের মাঠে ভিজতে নামলাম আমরা দুই রুমমেটকিন্তু বিধি বামএতক্ষণে বৃষ্টি থামতে শুরু করেছেতবুও মাঠে দাঁড়িয়ে রইলাম বেশ কিছুক্ষণযা ভিজলাম তাতে কিছুই হল নাএরপর যখন জামা পরলাম - সব আবার আগের মতোই স্বাভাবিক, যদিও পরনে বৃষ্টি-ভিজা প্যান্ট

ভিজা অবস্থায়ই ঝালমুড়ি খেলামএরপর কেন্টিনে গেলাম নাস্তা খেতে খাওয়া শুরু করলামএদিকে আমাদের নিয়ে প্রকৃতির খেলা থামে না বৃষ্টি আবার নামতে শুরু করেছেআমারাও কি হার মানি! আবার ভিজতে নামলামএবার গেলাম ক্যাম্পাসেচিরচেনা বুয়েট ক্যাম্পাসেথেমে থেমে ঝরতে থাকা ধারায় ভিজতে ভিজতে রাস্তায় হাঁটতে লাগলামউদাসী মনে চক্কর দিলাম পুরো ক্যাম্পাস মনটা ভাল হয়ে গেল বৃষ্টি শেষে সন্তুষ্ট চিত্তে রওনা দিলাম হলের দিকে - রুঢ় বাস্তবতার বিরুদ্ধে বিজয়ী এক মন নিয়ে... ... ...

(22 April, 2007)



Sunday, April 15, 2007

পহেলা বৈশাখের সাজ



লাল পাড়ের সাদা শাড়ী এক কোচা করে পরা... কপালে ছোট্ট টিপ - লাল কিংবা সিঁদুরে... খোপা করা চুলে জড়ানো ফুলের মালা... হাতের চুড়ি আর পায়ের নুপুরের সুমধুর আওয়াজ... আর সাথে আলপণা... মুখের অকৃত্রিম হাসিতো আছেই... ... ... ঊফ! কী অসাধারণ সুন্দর... ... ...

Thursday, April 5, 2007

জীবনের হিসাব বিজ্ঞান


সেই প্রথম যখন বুয়েটে এলাম, অবাক নয়নে তাকিয়ে থাকতাম সিনিয়র ভাইয়া-আপুদের দিকেআর যখন শুনতাম- উনি ৩/২ বা ৪/২ তে পড়েন, ধাঁধিয়ে যেত চোখ - ওম্মা, এত্ত সিনিয়র! বড়দের সামনে স্বভাবতই ভদ্র হয়ে যেতামকখনোই বলবনা জোর করে ভদ্র হতাম, ভদ্র হতাম তাদের সম্মানে, মন থেকেই হতামযেমন- হয়তো বারান্দায় ছুটোছুটি করছিলাম এদিক-ওদিক - এমন সময় পড়ে গেলাম এক ভাইয়ার সামনেএখন কি করি? পড়িমড়ি করে থামলামবিনয়ী ভঙ্গিতে জিজ্ঞেস করলাম - কেমন আছেন ভাইয়া? ... আবার কোন সময় হয়তো বন্ধুদের সাথে দুষ্টুমীতে ব্যস্ত - এমন সময় উদয় হলেন একজনঅতএব গুল্লি মারি দুষ্টুমী আর কোলাহলেরভাইয়ার দিকে চেয়ে হাসি- অপরাধের হাসিউনার চোখে-মুখেও যেন তির্যক হাসি - ধরে ফেলেছি, ধরে ফেলেছি ভাব

ভাবতেই কেমন অবাক লাগে- আজ আমি সেই ভাইয়াদের দলেআজ আমি ৪/২ তেজানিনা জুনিয়ররা কীভাবে দেখে আমায়তবে তাদের দেয়া ফ্লোর বিদায়, অমুক বিদায়, তমুক বিদায় আমাকে কেবলই মনে করিয়ে দেয় - বুয়েট লাইফ প্রায় শেষশেষ সময়টায় নস্টালজিয়াকে এড়াতে পারিনা অনেকের মতো আমিওমনে পড়ে টুকরো-টুকরো অনেক ঘটনা, টুকরো-টুকরো স্মৃতিস্মৃতি হাতড়িয়ে খুঁজে বেড়াই চাওয়া-পাওয়ার ব্যবধানমিলাতে চেষ্টা করি জীবনের জাবেদাকী করতে পারলাম আর কী পারলাম না- এ হিসাবের ডেবিট-ক্রেডিট মিলেনা কিছুতেইনা পারার দিকটাই এগিয়ে, বড্ড বেশি এগিয়েএটুকু জীবনে সবচেয়ে বড় সাফল্য যদি হয় বুয়েটে চান্স পাওয়া, ব্যর্থতাটাও থাকবে তার পাশেই- রেজাল্ট যে ভাল না রেজাল্টের দিকটা ছাড়লেও যেতে পারতাম প্রোগ্রামিং কন্টেস্টের দিকেযাওয়া হলনা সেদিকেওপড়াশুনার দিকটাই ছেড়ে দিলামখেলাধূলাতো এখনও আছেতবে সেখানে আমি বরাবরই দ্বাদশ ব্যক্তি (১১ জনের দলে)আরও বাকি সাংস্কৃতিক দিক- যে দিকটায় একদমই অপাঙতেয় আমি দুরবস্থার কথা কী আর বলব - হ্রস্ব-উ-কার আর উ-কার [তুমি আর তোমার] কিংবা এ-কার আর য-ফলা+আ-কার [নেশা আর ন্যাকা] এসবের মধ্যে তালগোল পাকিয়ে ফেলি এখনওহয়তো উল্লেখযোগ্য নয়- তবুও না পারার মিছিলে আরও যোগ দেয় নারীমিছিলের শ্লোগাণে শ্লোগাণে আত্মবিশ্বাসের ভীতখানিও কেঁপে উঠে কিছুটা

তবুও আত্মবিশ্বাসের সাথে এটুকু বলতে পারি- ভালকে ভাল আর খারাপকে খারাপ বলতে পারার মনটাকে ধরে রাখতে পেরেছিএখনও বন্ধুর সুখে হাসতে পারি, কাঁদতে পারি তার দুঃখেকারো কোন ভাল করতে পারলে এখনও শান্তি পাই মনে [এজন্য বাঁধন (স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন)-এর কাছে যার পর নাই কৃতজ্ঞ]এখনও আমি বন্ধুর সাথে লক্ষ্যহীন ম্যারাথন আড্ডা দিতে পারি, হাসতে পারি প্রাণ খুলে কিংবা অসংকোচ ভিজতে পারি বৃষ্টি এলে ... ... ... এখনও আমি স্বপ্ন দেখতে পারি