Wednesday, May 30, 2007

ঊফ! কী অসহ্য গরম!!


ঊফ! কী অসহ্য গরম!! অতীষ্ঠ হয়ে গেলামএইমাত্র pc'র সামনে বসলাম দিনের মধ্যে তৃতীয়বারের মত স্নান শেষে... চিটচিটে অস্বস্তিকর ভাবটা রয়ে গেছে এখনওএকটু আগে দিপুকে দেখলাম বসে আছে- গায়ে কেবল একটা গামছা জড়ানোএমন দৃশ্য দেখার পরেও বাতাস আর সূর্যের গল্পটা ভুলে থাকি কীভাবে? ... ওই যে গল্পটা... বাতাস আর সূর্য ঝগড়া করছে... দুজনেরই দাবি সে বেশি শক্তিশালী... কিন্তু কে মানে কার কথা?... তো হয়ে যাক পরীক্ষা... রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে এক পথিক... গায়ে নতুন জামা... ঠিক হল- ওই জামাটা যে খুলতে পারবে সে-ই জয়ী... বেচারা বাতাস! শত চেষ্টা করেও পারল না, লোকটা উল্টা জামা ঝাঁপটে ধরে... এদিকে সূর্য মামা চেষ্টা শুরু করতেই লোকটা জামা-কাপড় খুলে সোজা পুকুরে...

দুপুরের কথাটাই-বা ভুলে থাকি কীভাবে? বাঘ-মামা (ইমন) চাকরি পেয়েছে... এই খুশিতে খাওয়াচ্ছে সে... বাক-বাকুম করতে করতে শর্মা হাউজের দিকে রওনা দিলাম আমরা নয় জনমজাটা টের পেলাম রাস্তায় এসে... রিক্সা নেই... পলাশী মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি... কাঠফাঁটা রোদে গা পুড়ে যাচ্ছে... একবারের জন্য মনে হল খেতে না গেলেই ভাল হয়... আমার মত মানুষের মুখে এই কথা! আমি নিজেই অবাক!! কিছুক্ষণ পর একটা রিক্সা পেলাম... ভাড়া বেশি চাইলেও মুলামুলি করার সাহস দেখালাম না... গরমে শুধু আমার না, পরিবর্তন দেখলাম অন্যদের মাঝেও... আরাম করে বসতে না পারলেও রিক্সার হুড তুলতে বাঁধা দিল না (ঘাউড়া) শিশির! এবার তাহলে বুঝ ঠেলা!! ঊফ আর সহ্য হয় না... কবে যে আবার শান্তি আসবে!!!

Sunday, May 6, 2007

ছোট্ট মা ও ছোট্ট কথা

ছবিটার দিকে তাকালে প্রথমেই কোন জিনিসটা চোখে পড়ে? নিশ্চয়ই দুজনের সাবলীল হাসি, তাইনা? ছোট্টমনিকে বিশেষ করে নজরে পড়ে না? অমন নিষ্পাপ হাসি কি কারো দৃষ্টি এড়ায়? ... ও আমার ভাগ্নি। দেখতে দেখতে ছয়-ছয়টি মাস পার করে দিল। তার নাম... অনেক নাম তা ... মা (আমার বোন) রেখেছে স্বাগতা, বাবা বৈশালী, ঠাকুমার দেয়া নাম অহনা, বড় মামার পছন্দ আদৃতা, দাদু ডাকে স্বপ্না, দেবাদৃতা নামটাও রেখেছিল কোন একজন ... আমি? আমি আলাদা কোন নাম রাখিনি তার, ডাকি মা/মামণি বলে ... সে আমার ছোট্ট মা। কথা বলা এখনো শুরু করেনি। তবে আমার খু-উ-ব ইচ্ছা তার বকবকানি শুনব। আর সেই চেষ্টা চালিয়ে আসছি ছয় মাস ধরেই। সামনে পেলেই মা ডাক শিখাতে চেষ্টা করি। অবশ্য অন্য একটা উদ্দেশ্যও আছে আমার - কোনমতে যদি একবার মা ডাক শিখে, তবে তা পরপর দুবার বললেই তো ____ ;) কথা বলার পাশাপাশি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য জিনিসটাও শিখবে - সে একদিন ভালবাসতে শিখবে, ভালবাসাতে শিখবে। সে একদিন বড় হবে, অ-নে-ক বড় হবে... পরিপূর্ণ মানুষ হবে।

প্রাসঙ্গিক কিংবা অপ্রাসঙ্গিকঃ কিছুদিন আগে একটা ইংরেজি শব্দের দিকে চোখ গেল - ‘ADULTERATION’ADULT হওয়া আর ADULTERATION কি একই প্রসেস? কথাটা বিশ্বাস করতে ইচ্ছা না হলেও একদম উড়িয়ে দেয়া যায় কি???



Tuesday, May 1, 2007

পথের খুঁজে পথিক


কয়েকদিন ধরেই কথাটা আমাকে বেশ ভাবাচ্ছে - সিনিয়রদের দেখানো পথে হেঁটে যাওয়া ছাড়া আমরা মানুষেরা আর কী করি? এই যে আমি - জন্মের পর কান্নাকাটি করা ছাড়া আর কোন জিনিসটা নিজের ইচ্ছায় করেছি? স্কুলে গেছি, বাবা-মা পাঠিয়েছে বলে ... পড়ালেখা করেছি, বাবা-মা খুশি হয় বলে, অন্যরাও ভাল চোখে দেখে বলে ... স্কুল-কলেজ পার করে ভর্তি হলাম বুয়েটে, ভাল ছাত্ররা এখানে ভর্তি হয় বলে ... এমনকি সাবজেক্টটাও পছন্দ করলাম অন্যরা করে বলে ... বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ আজ শেষ হওয়ার পথে, মাথায় ঢুকেছে চাকরির চিন্তাএটাও নিজের মস্তিষ্কপ্রসূত নাজীবনে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে হলে ইনকাম করতে হয়-এটা শিখেছি বড় ভাইদের দেখে ... কিছুদিন পর হয়তো ভাবব বিয়েশাদি নিয়ে, লোকজনতো তাই করে ... এরপর হয়তো সন্তান-সন্ততি, তাদের মানুষ করা, এমনটাইতো দেখি চারপাশে ... ... ... এককথায় আমরা সেই কাজই করি যা করে গেছেন আমাদের অগ্রজেরা যখন তারা আমাদের বয়সী ছিলেনশুধু একটু ভিন্ন আঙ্গিকেসবসময়ই যদি সিনিয়রদের করা কাজের পুনরাবৃত্তি করে যাই, তবে আমার অবস্থানটা কোথায়??? উত্তর মেলে না...